Skip to main content

Posts

What is Communism?

Communism is an idea where everyone owns everything together – no private property , no rich bosses, no poor workers. The government (or the people directly) controls all factories, farms, land, and money. The goal: make everyone equal, no one starves, no one gets super rich. Sounds fair, right? But in real life, it almost always goes wrong. Where Did It Come From?Started in 1848 by two German guys: Karl Marx and Friedrich Engels . They wrote a short book called The Communist Manifesto . They hated how factory owners got rich while workers lived in slums, worked 16 hours a day, and kids starved. Marx said: History is a fight between rich and poor. One day, workers will rise up, take over, and create a perfect equal society. The Main Ideas (Simple Version) No private property → Everything belongs to "the people" (but really, the government runs it). No classes → No bosses, no workers, no rich, no poor. Government controls everything → Plans the economy, decides who gets what...

ইন্দ্র ও ইন্দ্রধ্বজ : বাংলার বিস্মৃত মহোৎসব

সারা ভারতবর্ষে কোথাও ইন্দ্রপূজা আজও পালিত হয়—শুনিয়াছ কি? হ্যাঁ, বাংলার মাটিতেও ইহা আজো জীবন্ত। বিস্মিত হইলে তো? ইতিহাসপুস্তকে তোমরা পড়িয়াছ—ইন্দ্র আদিবৈদিক দেবতা, আর বাঙালি নাকি অনার্য জাতি। তাই বইয়ের বাণী ও জীবনের সত্য প্রায়ই পরস্পরের বিরোধী হয়। যে ভূখণ্ডে শাস্ত্রজ্ঞ ব্রাহ্মণ দশানন রাবণকে আদিবাসী বলিয়া চিত্রিত করা হয়, সেইখানে এ-বিচিত্রতা আর কী নতুন? আস, তবে বাঙালির এই আদি উৎসবের মাহাত্ম্য বুঝিয়া লই। দেবরাজ ইন্দ্র, দিকপালরূপে নিত্য পূজিত, কিন্তু গ্রামবাংলার হৃদয়ে তিনি কৃষির রক্ষাকর্তা, বৃষ্টির অধিপতি। উহার কৃপাতেই ধান্যশ্যামলা হইয়া ওঠে ভূমি। এই উৎসব পালিত হয় করম একাদশীর পরদিন, দ্বাদশীর শুভ তিথিতে। আচার্য যোগেশচন্দ্র রায় বিদ্যানিধি ‘পূজাপার্বণ’ গ্রন্থে লিখিয়াছেন—প্রাচীনকালে জ্যৈষ্ঠ মাসের শুক্ল নবমী হইতে তিন মাস তিন তিথি পর, অর্থাৎ ভাদ্র মাসের শুক্ল দ্বাদশীতেই সূর্যের দক্ষিণায়ন আরম্ভ হইত। ঐ দিবসের নাম ছিল ‘বামন দ্বাদশী’। সেদিন রাজারা প্রজাসহ ধ্বজ রোপণ করিতেন, পতাকা বাঁধিতেন। ধ্বজের ছায়া দেখিয়া দক্ষিণায়নের কাল নিরূপণ হইত, পতাকার দোলন দেখিয়া বায়ুর গতিপথ বোঝা যাইত। ইন্দ্...

বঙ্গে কালিকা পূজা: লোকাচার নাকি শাস্ত্রাচার?

বঙ্গেশ্বরী কালিকা আরাধনা বৈদিক— এক প্রমাণভিত্তিক প্রতিপাদ্য বঙ্গে তথা ভারতবর্ষে বঙ্গেশ্বরী দেবী কালিকার আরাধনা অতিপ্রাচীন, সুসংহত ও ধর্মমূলে প্রতিষ্ঠিত। তথাপি বর্তমানে কতিপয় তথাকথিত বুদ্ধিজীবী ও সদ্যপ্রস্ফুটিত এনজিও সদৃশ পরম্পরাবিচ্ছিন্ন সংগঠনসমূহ কৌশলে কালিকা আরাধনাকে “অবৈদিক” বলিয়া প্রচার করিবার অপচেষ্টা করিতেছে। উহাদের যুক্তি এইরূপ— “প্রাচীন হিন্দু শাস্ত্রে দেবী কালিকার উল্লেখ নাই; ইহা পরবর্তীকালের পৌরাণিক রচনা।” কিন্তু এই বক্তব্য সম্পূর্ণরূপে ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।পুরাণের উল্লেখ স্বয়ং বৈদিক সাহিত্যে বর্তমান। উদাহরণস্বরূপ, শতপথ ব্রাহ্মণ-এ পুরাণ শব্দটি একাধিকবার ব্যবহৃত হয়েছে। মহাভারতের স্বর্গারোহণ পর্বে (৫.৪৫) স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে — “আঠারোটি পুরাণ” একটি স্বীকৃত, শাস্ত্রসম্মত বিভাগ। অতএব, পুরাণ বেদ-বিরোধী নয় — বরং বেদ থেকেই পুরাণের বীজ। ইহাদের উদ্দেশ্য হইল সাধারণ হিন্দুকে বেদ ও শাস্ত্রতত্ত্ব হইতে বিচ্ছিন্ন করিয়া ধর্মচ্যুত করিয়া তোলা। কারণ, অধিকাংশ হিন্দু ধর্মতত্ত্ব পাঠ করেন না; বরং পূজা-পার্বণ ও আচার-অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ধর্মে অবিচল থাকেন। অতএব, ইহারাই কালিকা, শ্রীকৃষ্ণ, ম...

বাংলা মানেই বৈদিক উত্তরাধিকার

নমস্কার, গৌড়ীয় সেনা বলছি।   সামাজিক মাধ্যমে ঘুরতে ঘুরতে চোখে পড়ল, কলকাতার এক মোটা বাবুর চটকা বক্তব্য।   বাবুটি বলছেন — “বাঙালিরা আর্য নয়, রমেশচন্দ্র মজুমদার নাকি এমনই বলেছিলেন।”   শো হোস্টও কোনো উল্টো প্রশ্ন না করে সায় দিল — “ও, তাই!”   বাবুটি তার বক্তব্য শেষ করলেন এই বলে, “তাই নাকি বৈদিক সাহিত্যে বাঙালির কোনো উল্লেখই নেই।”   চলুন বাবুটিকে একটু পড়াশোনা করাই, মনে হয় চোখে হাই পাওয়ারের চশমা দরকার, তাই পড়তে পারেননি ঠিকমতো।   প্রথমে আসি — বাঙালি কারা?   যারা বাংলা ভাষায় কথা বলেন?   উত্তর হলো — না।   বাঙালি হলেন মহারাজ বঙ্গের উত্তরাধিকারী। এ মহারাজ বঙ্গ কে?   ঋষি দীর্ঘতামসের আশীর্বাদে চন্দ্রবংশীয় মহারাজ বলীর পুত্র বঙ্গ — এই তথ্য মহাভারত-এ স্পষ্টভাবে লেখা আছে।   শুধু তাই নয়, পুণ্ড্র অঞ্চলের মানুষদের ঐতেরেয় ব্রাহ্মণ গ্রন্থে ঋষি বিশ্বামিত্রের পুত্র বলা হয়েছে।   আর বাবুটি বলেন, নাকি বৈদিক সাহিত্যে বাঙালির কোনো উল্লেখই নেই!   তার ওপর, পুণ্ড্র, তাম্রলিপ্তি ...

শাস্ত্রে কোথায় আছে ‘সনাতন ধর্ম’?

ম্লেচ্ছরাজের সৈনিকেরা সনাতন ধর্ম সম্পর্কে নিত্যনতুন ভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। এর মধ্যে নতুন একটি ভ্রান্তি হলো, এই ধর্মের নাম যে "সনাতন," সেটা কোনো শাস্ত্রে নেই। এর প্রতি উত্তরে কিছু হিন্দু যুবক শ্লোক দিলেও, ম্লেচ্ছদের কুযুক্তি হলো, ওরা যে শ্লোক দিয়েছে, সেখানে সনাতন শব্দটি বিশেষণ অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে। অর্থাৎ, বৈদিক আর্যধর্মের শাশ্বত গুণকে তুলে ধরা হয়েছে। সে ভুল বলেনি। কিন্তু ম্লেচ্ছ এতটাই মূর্খ যে এটা বোঝে না, লেবু কমলা বর্ণের হলে তাকে কমলালেবু বলা হয়। এখানে বিশেষণই নামার্থে ব্যবহৃত হয়েছে। তবুও, আসুন দেখে নেওয়া যাক, কোথায় কোথায় সনাতন ধর্ম শব্দটি ব্যবহৃত হয়েছে: ১. মনুস্মৃতি ৭.৯৮-এ স্পষ্টভাবে সনাতন ধর্মের উল্লেখ রয়েছে। এবং ইহা যে বৈদিক ধর্ম, তার জন্য আপনি পূর্বের শ্লোক দেখতে পারেন, ওতে বেদাদি শাস্ত্রের স্পষ্ট উল্লেখ রয়েছে। ২. মহাভারত ৩.১৫২.৯-এ পুনরায় সনাতন ধর্মের উল্লেখ রয়েছে। ৩. রামায়ণ ৪.১৮.১৮-তে শ্রী রামচন্দ্র বালিকে বধ করার কারণ হিসেবে মনুস্মৃতি উদ্ধৃত করে বলেছেন, "তুমি ভ্রাতৃভার্যার সাথে অন্যায় আচরণ করে সনাতন ধর্মের লঙ্ঘন করছ।" এখানে পুনরায় সনাতন ধর্মের উল্লেখ। ৪. শ্রীমদ্ভা...

বঙ্গে রামনবমী

প্রায় কিছু বৎসর পূর্ব হইতে দেখছি যীশু-পূজা, রমজান, ঈদ পালন করা কলকাতার বাবুগণ রামনবমী পালন হতে দেখিলে ত্রাহি ত্রাহি রব তোলেন। অবশ্য এর যথেষ্ট কারণ রয়েছে—রামের প্রভাব বাড়িলে তাঁদের বেল্লাপনা বন্ধ হইবে। বঙ্গীয় সংস্কৃতির উপর আরব ও ইউরোপীয় সংস্কৃতির আগ্রাসন বন্ধ হবে। কিন্তু সরাসরি ভারত সম্রাটের বিরোধিতা করিলে, পাছে বাঙালি ক্ষেপে গিয়ে জুতোপেটা করে, তাই ভয়ে ভয়ে এখন বলছে—"রামনবমী বাংলার সংস্কৃতিতে ছিল না, বাঙালি এই অবাঙালি আগ্রাসন মানবে না…" ইত্যাদি ইত্যাদি। কেহ কেহ আবার হুতুম পেঁচার নকশা হইতে দেখাইতেছেন রামলীলাকে খোট্টা উৎসব বলে। তাঁরা লিখছেন—বাঙালির রাম বলতে রামমোহন ও রামকৃষ্ণ। এদের মতো নিরেট মাথামোটা বিশ্বভ্রমণ করলেও অল্পই মিলবে। রামমোহন নিজ পত্রের অন্তে পরিচয় হিসাবে নিজেকে "শ্রী রামের দাস" হিসেবে উল্লেখ করেন। আর রামকৃষ্ণ ঠাকুরের কুলদেবতা তো স্বয়ং রঘুবীর। এসব নয়, পরে আলোচনা করা যাবে। আগেও বহুবার বলেছি—কলকাতার বাবুদের বাংলা সম্পর্কে ধারণা কম। তাই Xmas বাঙালির উৎসব আর রামনবমী অবাঙালি হয়ে যায়! মেদিনীপুর, বীরভূম প্রভৃতি জেলায় বহু ৩০০-৪০০ বছর পুরোনো রাম মন্দির( আরও জানতে )দে...

হোলি কি বাঙালির উৎসব নয়? ইতিহাস জানুন, মিথ্যা ধরুন

নমস্কার, গৌড়ীয় সেনা বলছি।  সদ্য এক হিন্দুবিরোধীর সামাজিক মাধ্যমে একটি পোস্ট দেখলাম।   ওর বক্তব্য এই যে, বাঙালি একশ বছর আগে হোলি পালন করত না, হোলিকা দহন করত না।   এ প্রসঙ্গে ম্লেচ্ছদের আরেকটি অভিযোগের খণ্ডন করে রাখি— হোলিকা কোনো দলিত নারী নন। হিন্দু শাস্ত্র অনুযায়ী, হোলিকা ঋষি কাশ্যপের কন্যা।   তিনি কোনো মানুষ নন, তিনি দৈত্য। 'মানব' এবং 'দৈত্য'— এই দুই শ্রেণির পার্থক্য আছে। মনুস্মৃতির দ্বাদশ  অধ্যায়ে  (12.48) স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে, দেবতা ও দৈত্যরা একই স্তরের এবং মানুষের তুলনায় উন্নত যোনির। সুতরাং, এখানে 'দলিত' প্রসঙ্গ অবান্তর।  এবার আসি বাংলায় হোলি খেলা প্রসঙ্গে।   ম্লেচ্ছদের হিন্দু রীতির বিষয়ে জ্ঞান না থাকাই স্বাভাবিক, তবুও সবার জন্য আবারও বলি—   মহামহোপাধ্যায় জীমূতবাহন প্রায় ৯০০ বছর আগে রচিত দায়ভাগ গ্রন্থে হোলির উল্লেখ করে গেছেন।   এই ম্লেচ্ছ, যে কিছুদিন আগেই ৪০০ বছর আগে মোগলদের দ্বারা শুরু করা রমজানকে বাঙালির উৎসব বলে চালাতে চেয়েছিল, সে-ই আজ হোলি নিয়ে প্রশ্ন তুলছে!   শুনে রাখ, মূর্খ! বাঙালির ইতিহা...