নমস্কার, গৌড়ীয় সেনা বলছি।
সদ্য এক হিন্দুবিরোধীর সামাজিক মাধ্যমে একটি পোস্ট দেখলাম।
ওর বক্তব্য এই যে, বাঙালি একশ বছর আগে হোলি পালন করত না, হোলিকা দহন করত না।এ প্রসঙ্গে ম্লেচ্ছদের আরেকটি অভিযোগের খণ্ডন করে রাখি— হোলিকা কোনো দলিত নারী নন। হিন্দু শাস্ত্র অনুযায়ী, হোলিকা ঋষি কাশ্যপের কন্যা।
তিনি কোনো মানুষ নন, তিনি দৈত্য। 'মানব' এবং 'দৈত্য'— এই দুই শ্রেণির পার্থক্য আছে। মনুস্মৃতির দ্বাদশ অধ্যায়ে (12.48) স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে, দেবতা ও দৈত্যরা একই স্তরের এবং মানুষের তুলনায় উন্নত যোনির। সুতরাং, এখানে 'দলিত' প্রসঙ্গ অবান্তর।
এবার আসি বাংলায় হোলি খেলা প্রসঙ্গে।
ম্লেচ্ছদের হিন্দু রীতির বিষয়ে জ্ঞান না থাকাই স্বাভাবিক, তবুও সবার জন্য আবারও বলি—
মহামহোপাধ্যায় জীমূতবাহন প্রায় ৯০০ বছর আগে রচিত দায়ভাগ গ্রন্থে হোলির উল্লেখ করে গেছেন।
এই ম্লেচ্ছ, যে কিছুদিন আগেই ৪০০ বছর আগে মোগলদের দ্বারা শুরু করা রমজানকে বাঙালির উৎসব বলে চালাতে চেয়েছিল, সে-ই আজ হোলি নিয়ে প্রশ্ন তুলছে!
শুনে রাখ, মূর্খ! বাঙালির ইতিহাস লেখকদের মধ্যে অন্যতম নীহাররঞ্জন রায় হোলিকে বাঙালির নিজস্ব উৎসব বলে উল্লেখ করেছেন। তাঁর মতে, হোলি বেদের রচনারও আগে থেকে বঙ্গের আদি অধিবাসীরা পালন করে আসছে।
আরবের দালালদের উদ্দেশে সাহিত্যসম্রাট বঙ্কিমচন্দ্রের একটি কথা মনে করিয়ে দিই—
"আত্মজাতি-গৌরবান্ধ, মিথ্যাবাদী, হিন্দুদ্বেষী মুসলমানের কথা যে বিচার না করিয়া ইতিহাস বলিয়া গ্রহণ করে, সে বাঙালি নয়।"
হ্যাঁ, হোলি বাঙালির একান্তই নিজস্ব উৎসব!
Comments
Post a Comment